Skip to main content

মানিকগঞ্জে যানবাহনে তল্লাশি, বাড়ি থেকে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী আটক

 মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। এদিকে বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে বাধা দিতে এবং হয়রানি করতে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

আটক নেতা-কর্মীরা হলেন—মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফকুরহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি তমিজ উদ্দিন, উপজেলার হরগজ ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ফকুরহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বাদশা মিয়া, সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির প্রবাসীকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান, ফকুরহাটি ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মোতালেব হোসেন, ফকুরহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলাম।

সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশিচৌকিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানোর সময় মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের দেখা গেছে। আজ সকাল ৯টার দিকেও মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশিচৌকিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। এ সময় বাসের যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি করা হয়।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশির দায়িত্বে থাকা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম বলেছেন, সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যথায় কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধল্লা এলাকাতেও তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে পুলিশ। সেখানেও বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানোর সময় যাত্রীদের জেরা করা হচ্ছে।

সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর রহমান খান জানান, ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তল্লাশিচৌকি থাকলেও সেখানে পুলিশের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আজ ভোর থেকে সেখানে তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে।

তবে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এ ফাঁড়ির সামনে প্রতিনিয়ত তল্লাশি করা হয়। কোনো দলের কর্মসূচি উপলক্ষে এই তল্লাশি করা হচ্ছে না।


জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, ঢাকায় দলের মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। কিন্তু এর পরও ঢাকার মহাসমাবেশে মানিকগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে অনেক নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘কোনো দলের কর্মসূচি উপলক্ষে নয়, মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা আটকের বিষয়টি সঠিক নয়।’

Comments

Popular posts from this blog

মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন পুরোপুরি নিভেছে

রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টায় এ আগুন পুরোটাই নেভানো হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মহাখালীর আমতলী এলাকার ১৪ তলা ওই ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। উদ্ধারকাজে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন হাসনা হেনা (২৭), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৬৩) ও আকলিমা রহমান (৩১)। মো. শাহজাহান শিকদার আজ প্রথম আলোকে বলেন, খাজা টাওয়ারের আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়েছে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপিত হয়েছে। এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। আরও পড়ুন মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুনে আরও দুজনের মৃত্যু

ডিসেম্বরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর সম্ভাবনা, তৈরি হচ্ছে পাঁচটি ট্রানজিট কেন্দ্র

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক পাঁচটি ট্রানজিট কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে কেন্দ্রগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে ডিসেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে। প্রত্যাবাসন নিয়ে আশ্রয়শিবিরগুলোয় তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নিরাপদ বসবাসের নিশ্চয়তা পেলে দেশে ফিরতে রাজি অধিকাংশ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে বর্তমান নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। কিন্তু গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। এখন চীনের মধ্যস্থতায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যেকোনো সময় এই প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফে পৃথক পাঁচটি ট্রানজিট কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আশ্রয়শিবির থেকে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্র